দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হয়নি। উপজেলায় ১৪ হাজার ৫৯৬ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ থাকলেও সময় বৃদ্ধির পরেও ৮ হাজার ৯১৭.৫০০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ হয়েছে। ৫ হাজার ৬৭৮.৫০০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় এ অভিযান সফল হয়নি। এদিকে সময় বৃদ্ধি পেয়েও চাল সরবরাহ না করায় ১৭৬টি মিল কালো তালিকাভুক্ত হচ্ছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১৪ হাজার ৫৯৬ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। তালিকাভুক্ত ৪৯৩টি মিলারের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ৩১৭ জন মিলার।
উপজেলায় চাল সংগ্রহের নির্ধারিত তারিখ ৩১ আগস্ট অতিবাহিত হওয়ার পর সরকারি ভাবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই চাল সংগ্রহ অভিযানের সময় বৃদ্ধি করা হয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর সোমবার উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহ অভিযান সফলের লক্ষ্যে উপজেলা খাদ্য সংগ্রহ কমিটির সভাপতি ইউএনও এসএম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে মিলারদের সাথে ˆবঠক করেও মিলারদের সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ করাতে ব্যর্থ হন। সময় বৃদ্ধির পরেও ১৭৬জন মিলার সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া থেকে বিরতই থাকে। এ ব্যাপারে উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রাľাক জানান, বাজারে চালের দর ৪০ টাকা কেজি। অপর দিকে সরকারি দর নির্ধারন করা হয় ৩৬ টাকা। চুক্তিবদ্ধ মিলাররা সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করে কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা হারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত না হতে চলতি বোরো মৌসুমে অনেক মিলাররা সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া থেকে বিরত থাকেন।
এদিকে খাদ্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা চলতি বোরো মৌসুমের চুক্তিবদ্ধ চাল সরবরাহকারী মালিকদের মূল্যায়ন এবং চুক্তিবদ্ধ না হওয়া মিল মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গত ১৯ আগস্ট বুধবার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নিকট প্রেরিত খাদ্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখার মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ স্বাক্ষরিত পত্রে উপজেলার চলতি বোরো মৌসুমের চুক্তিবদ্ধ চাল সরবরাহকারী মিল মালিকদের অধিদপ্তর থেকে মূল্যায়ন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একই সাথে চুক্তিবদ্ধ না হওয়া মিল মালিকদের সরকারি চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অসহযোগিতা করার অভিযোগে লাইসেন্স স্থগিত সহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের কথা উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কেএম গোলাম রাব্বানী জানান, উপজলোয় সময় বৃদ্ধির পরে ৮ হাজার ৯১৭.৫০০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বিভিনś ভাবে মিলারদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়ে এবং মিলাররা সহযোগিতা না করায় ৫ হাজার ৬৭৮.৫০০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। একই সাথে তিনি জানান, সময় বৃদ্ধির পরেও চাল সংগ্রহ অভিযানে সরকারকে সহযোগিতা না করায় উপজেলার ১৭৬ টি মিল কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এবং তাদের নামের তালিকা খাদ্য মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করেছেন। মন্ত্রনালয় যে সিদ্ধান্ত নিবে পরবর্তিতে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
#
Leave a Reply