দুপচাঁচিয়া ( বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় শনিবার রাতে
ধর্ষক দুপচাঁচিয়ার বেড়াগ্রাম দক্ষিনপাড়ার আঃ সালামের ছেলে সোহাগ (২০) কে আটক করা হয়েছে।
দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা সূত্রে ভুক্তভোগী নারীর বর্ননা সূত্র জানায়, গত প্রায় দুই বছর পূর্বে শ্যামল(৩০), পিতা-মৃত মনোরঞ্জন, সাং-দারিয়াল, থানা-বগুড়া সদর, জেলা-বগুড়া এর সাথে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের পর হইতে আমার স্বামীর সহিত বনিবনা না হওয়ায় আমি আমার পিতার বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করি। বেশ কিছু দিন যাবত আমি আমার পিতার বাড়িতে থাকিয়া কাহালু থানাধীন শেখাহার গ্রামস্থ আজাদ বাবলু গøাস ফ্যাক্টারিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করিয়া আসিতেছিলাম।
উক্ত ফ্যাক্টারিতে কাজ করার সময় উক্ত আসামীর সহিত আমার পরিচয় হয় এবং বন্ধুত্ব সম্পর্ক সৃষ্টি হওয়ার পর উক্ত আসামী আমাকে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করাইয়া মুসলিম বানিয়ে আমাকে বিবাহ করে ভাল ভাবে ঘর সংসার করবে বলে বিভিন্ন লোভ লালসা ও প্রলোভন দিয়ে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় যেমন পেপার মিল, গøাস ফ্যাক্টারি ও ঢাকা শহরে নিয়ে গিয়া কাজ করে নিয়েছে এবং একত্রে থাকিয়া রেজিস্ট্রিকৃত বিবাহ না করে আমার সহিত অবৈধ ভাবে মেলামেশা করিয়া আসিতেছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় গত প্রায় ০৫ মাস পূর্বে দুপচাঁচিয়া থানাধীন জয়পুরপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মোঃ মোবারক হোসেন (৬০), পিতা-মৃত কায়েম উদ্দিন, সাং-জয়পুরপাড়া, থানা-দুপচাঁচিয়া, জেলা-বগুড়া এর দ্বিতীয় তলা বাসার নিচ তলা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়া থাকিয়া আমার সহিত অবৈধভাবে মেলামেশা করতে থাকে। আমি তাকে বিবাহের জন্য চাপ দিলে সে তালবাহানা করে। গত ইং ০৭/১১/২০২১ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় উক্ত বসতবাড়ির নিচ তলা বাসার দক্ষিণ দুয়ারি ঘরে খাটের উপর উক্ত আসামী আমার সাথে পূনরায় শারীরিক মেলামেশা করতে চাইলে আমি বাধা দেই এবং বিবাহের কথা বলি। তখন সে ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
এরপর হইতে আমি উক্ত আসামীকে আমাদের বিবাহ রেজিস্ট্রি করার জন্য বলিলে আসামী বার বার সময় নিয়ে বিভিন্ন রকম তালবাহানা করিতে থাকে। অতপর উক্ত আসামী কৌশলে আমাকে বগুড়া সদর থানার গোদারপাড়া গ্রামস্থ আমার চাচাতো ভাই বিপুল এর বাসায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে কোনো উপায়ান্তর না দেখে থানার আশ্রয় নেই।
আটককৃত ধর্ষক কে রোববার বগুড়া কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি আবুল কালাম আজাদ।
Leave a Reply