দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি :
গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার রাতে দুপচাঁচিয়া উপজেলায় রাজশাহী র্যাব নাটোর-৫ একটি দল ও পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ১০ মাদক বিক্রেতা, ৬ জুয়াড়ি ও জালটাকা সহ মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার সহ একটি মাইক্রোবাস জব্দ করেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নাটোর র্যাব-৫ একটি আভিযানিক দল গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের থানা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় কুমিল্লা সিমান্ত এলাকা থেকে নওগাঁ অভিমুখে মাইক্রোবাস (যাহার নং- ঢাকা মেট্রো-চ-১৯-৭৩৭৮) গতিরোধ করে। র্যাবের উপস্থিতি টেরপেয়ে মাইক্রোবাস থেকে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার অশকতলা এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মিয়া (২৮), বল্লভপুর এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মাইক্রো ড্রাইভার জুয়েল আহম্মেদ (২৪), মনশাষন এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে কাওছার আহম্মেদ (২৩), সাতরা এলাকার মৃত জাহানমিয়ার ছেলে লিয়ামত হোসেন (২৫), ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বালিয়াহুড়া এলাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে রুহুল আমিন (২৫), মৃত শাহিদ মিয়ার ছেলে শাকিল আহম্মেদ (২৫), শাকিল আহম্মেদের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার (১৯), কইখোলা এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে খোরশেদ আলম (২৭) কে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬২ কেজি শুকনা গাঁজা জার আনুমানিক মূল্যে ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। ওই রাতেই মাইক্রোবাস সহ আটককৃদদেরকে দুপচাঁচিয়া থানায় সোপর্দ করেন। এ সংক্রান্তে রাজশাহী র্যাব নাটোর-৫ ক্যাম্পের এসআই আবুল কালাম বাদী হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছে। এদিকে বগুড়া ডিবি পুলিশ একই দিন তালোড়া লাফা মন্ডলপাড়া এলাকা থেকে মাদক বিক্রেতা জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার হেলাল উদ্দীনের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৩২) কে আটক করে। তার কাছ থেকে দুই কেজি ওজনের গাঁজা উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে ওই দিনই ডিবি এএসআই সাইদ্দুজ্জামান বাদী হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা করেছে। অপর দিকে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ একই রাতে মাদক বিরোধী অভিযান চালান। পুলিশ চামরুল ইউনিয়নের পোথাট্টি বাজার এলাকা থেকে ওই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আক্তার হোসেন (৫৬) কে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে ১৫ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। তার বিরুদ্ধে রাতেই থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ মাটিহাঁস গ্রামে তাস দিয়ে জুয়া খেলার সময় ওই জুয়ার আসরে অভিযান চালান। সেখান থেকে উপজেলা সদরের ডিমশহরের আনোয়ার হোসেনের ছেলে শহীদ হোসেন মাছুম (৩৩), বড় করমজি তেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত কাশেমের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫০), মৃত হাজি বাশরাতুল্লাহ মন্ডলের ছেলে আমজাদ হোসেন (৫১), ভাতহান্ডা গ্রামের মৃত হজরতুল্লাহ ফকিরের ছেলে আবু সাঈদ (৬৪), মোস্তফাপুরের আবু সাঈদের ছেলে এজাজুল ইসলাম (৩২), পাশ্ববর্তি কাহালু উপজেলার নারহোট্ট সরদার পাড়ার খলিলুর রহমানের ছেলে গোলাম রব্বানী (৩৮) কে গ্রেফতার করে। সেখান থেকে জুয়ার খেলার তাস সহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। পুলিশ উপজেলা সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে জাল টাকার নোট সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। এরা হলো নওগাঁ সদরের চকমুক্তা গ্রামের নাঈম হোসেনের স্ত্রী মুক্তার বানু (২৮), রানীনগরের পারইলের ছলিম উদ্দীন প্রামানিকের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪২), উপজেলার বনতুঁতুলি গ্রামের আশরাফ আলী ওরফে আসাদ আলীর ছেলে রাসেল (৩২)। পুলিশ গ্রেফতারকৃতদেরকে ৩০ মার্চ বুধবার বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছেন।
Leave a Reply