দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি :
দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌধুরীপাড়া সরকারি রাস্তা ও ড্রেনের উপর দোকান নির্মাণ করে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রওশন আলী খানের চলাচলের রাস্তা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওই শিক্ষক আদালতে মামলা করেছে।
দুপচাঁচিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ইংরেজি শিক্ষক রওশন আলী খানের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলা সদরের চৌধুরীপাড়ায় তার নিজস্ব ৭১৮৩ দাগে বাড়ি রয়েছে। বাড়ির দক্ষিণ দিক দিয়ে চলাচলের সরকারি রাস্তা। সরকারি খতিয়ান ভুক্ত ৭১৮৯ দাগে সরকারি এই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর যাবৎ চলাচল করে আসছেন। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রওশন আলী খান অসুস্থতার কারণে তার বাড়ি আমমোক্তার তার দুই মেয়ে রাজিয়া সুলতানা ও খান ফৌজিয়া সুলতানাকে লিখে দেন এবং তিনি মেয়েদের বাড়িতে অবস্থান করেন।
তার অনুপস্থিতির সুযোগে চৌধুরীপাড়ার উৎপল কুমার ও তার স্ত্রী সুদেবী রানী রাস্তার প্রবেশ মুখে স্থাপনা নির্মাণ করে যাতায়াতের পথ বন্ধ করেছে। সেই সাথে রাস্তা সংলগ্ন ১নং খতিয়ান ভুক্ত ওই ৭১৮৯ দাগের সরকারি রাস্তার কথা গোপন করে সুদেবী রানী তার বাড়ির পরিমাণ এক শতক দেখিয়ে কমিশন করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি আদালতে চলাচল অধিকার আইনে মামলাও করেছেন। মামলাটি বিচারাধিন রয়েছে। মামলাটি বিচারাধিন থাকাকালিন সুদেবী রানী আবারও ওই রাস্তার পিছনে তার বাড়ির রান্নাঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করে সড়কটি দিয়ে পুরোপুরি চলাচলে ঊধংবসবহঃ জরমযঃ এর মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে (৭ মে) শনিবার সুদেবী রানীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সড়কটি তার বাড়ির খতিয়ান ভুক্ত জায়গার উপর। তিনিও আদালতে মামলা করেছেন। আদালতের রায়ে সড়কটির জায়গা সরকারি হলে তিনি তার নির্মানাধিন দোকান ভেঙ্গে দিবেন বলে জানান।
Leave a Reply