আজ থেকে ঠিক কত বছর পূর্বে এই মেলা প্রথম বসেছিল তার সঠিক কোন তথ্য জানা যায়নি এখনও।তবে আনুমানি মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে থেকেই মেলাটা বসেছিল যা গ্রামের বৃদ্ধা দাদা নানা দের গল্পে জানা যায়।এই মেলাটা বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের উনাহত সিংড়া গ্রামের প্রচীনতম স্থান “শিববাড়ি”ভিটা নামক স্থানে বসে।
এই শিববাড়ির ভিটাতে অনেক বড় একটা বট গাছ ছিল যা কালের বিবর্তেনে আজ আর নেই। তবে গল্পে শোনা যায় তা ছিল আর এই ভিটাতে পূর্বে হিন্দুদের বসতিও ছিল। বর্তমানে এই ভিটার মাটির নিচে চাপা পরে রয়েছে সেই সব বসতি কিছু কিছু পোড়া মাটির মূর্তি বর্তমানে পাওয়া যায়।দাদা নানারা বলত যে সময়ে এই মেলা হত তখন ধান কাটা শেষ হত এবং সবাই তখন ফ্রি থাকত সেই সময় ছিল” জৈষ্ঠ্য মাসের প্রথম দিন'”সেই থেকে মেলাটা জৈষ্ঠ্য মাসের পহেলা তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।আর সেই সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মেলার সময়ে গ্রামের সব জামাই দের দাওয়াত দেওয়া হত।
তখন গ্রামে একটা উৎসব মুখর পরিবেশ গড়ে ওঠে।আর মেলার দিনে গ্রামের ভিতর দুইটা বড় বড় পুকুর আছে সেখানে মাছ ধরা হত। বর্তমানে এখন আর সেটা হয়না। আর মেলার বিশেষ আকর্ষন “পাঁতা খেলা” যা ঢোলের তালে তালে খেলা হত। বর্তমান কয়েক বছর ধরে এইটাও বিলুপ্ত।এবছর (২০২২) স্বল্প পরিসরে মেলাটি হলেও ,সঠিক তদারকির অভাবে ধীরে ধীরে গ্রামীন এই সংস্কৃতি বিনোদন বিলুপ্তির পথে।
লেখা ও ছবি
——————
মোঃ রিয়াজ মোরশেদ (সুমন)
গুনাহার ইউনিয়ন
Leave a Reply