নিজস্ব প্রতিনিধি :
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বিধবা নারী কে ধর্ষণের অভিযোগ এক ব্যক্তি কে আটক করা হয়েছে। আটকের পর মঙ্গলবার (১৭ মে) আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। আটককৃত আব্দুস সালাম দুপচাঁচিয়া উপজেলার চন্দ্রদীঘি পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাহারপুকুর বাজারের শ্রীপুর এলাকাস্থ একটি ধানের চাতালে কাজ করে কোনরকমে জীবিকা নির্বাহ করে ৫০ বছর বয়সী বিধবা নারী পারভীন বেওয়া। কাজের সুবিধার জন্য চাতালের একটি অংশে ঢেউটিন নির্মিত ঘরে বসবাস করত সে। বিভিন্নসময় কাজের ফাঁকে পরিচয় হয় আব্দুস সালামের সাথে। পরিচয়ের সূত্র ধরে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে দৈহিকভাবে বিধবা পারভীন বেওয়ার সাথে মেলামেশা করে আব্দুস সালাম। ভুক্তভোগী পারভিন বেওয়া মান সম্মানের ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে এবং প্রতিনিয়ত দৈহিক মেলামেশার বিভিন্ন পর্যায়ে বিয়ে রেজিস্ট্রির কথা বললে তালবাহনা করতে থাকে অাব্দুস সালাম।মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৩ মে (শুক্রবার) রাতে পারভিন বেওয়ার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে দৈহিক মেলামেশার প্রস্তাব করে আব্দুস সালাম। বিয়ে ছাড়া দৈহিক মেলামেশায় রাজী না হওয়ায় খুন-জখমের ভয় দেখিয়ে পারভীন বেওয়া কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে থাকে সে। এসময় ওই ধর্ষিতার ডাক চিৎকার শুনে এজাহারে উল্লেখিত স্বাক্ষীগণ এবং স্থানীয়রা এসে হাতেনাতে আটক করে ধর্ষক আব্দুস সালাম কে।আটককারীরা বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকলে পারভীন বেওয়া কে বিয়ে করতে রাজী হয় আব্দুস সালাম। সে অনুযায়ী ডাকা হয় এজাহারে কাজী হিসাবে উল্লেখিত আব্দুল মাজেদ মন্ডল (৪৫) নামের এক ব্যক্তি কে। এরপর বিয়ে রেজিস্ট্রির জন্য বাড়ি থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র আনার নাম করে পালিয়ে যায় ধর্ষক আব্দুস সালাম।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আলেফ উদ্দিন জানায়, ধর্ষণের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পারভীন বেওয়া কে মঙ্গলবার (১৭ মে) শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানায়, এজাহার গ্রহন করেই অভিযুক্ত ধর্ষক অাব্দুস সালাম কে আটক করতে তৎপর হয় পুলিশ। সে মোতাবেক আটক করে আইনগত মোকাবেলার জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply