দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি:
দুপচাঁচিয়ার পৌর এলাকার বম্বুপাড়ার মইনুল হোসেন পেশায় একজন ক্ষুদে মুদি দোকানদার। বর্তমানে দোকানের পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন উন্নত জাতের কবুতরের খামার। শখেই কয়েক জোড়া দেশি কবুতর পুষেছিলেন। পোষার জন্য কবুতর সংগ্রহে গিয়ে অনেক কবুতর পালনকারীদের সাথে পরিচয় হয় তার। তাদের কাছ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে উন্নত জাতের কবুতর পালনে ঝুঁকে পড়েন মইনুল হোসেন।
অনেক লোকজন তার কবুতর খামারের কথা জানতে পেরে পরামর্শের নেওয়ার জন্য ছুটে আসেন তার কাছে। বর্তমানে মইনুল হোসেনের খামারে রয়েছে ককা, লোটন, সিরিজ, বোম্বাইসহ বিভিনś উন্নত জাতের কবুতর।
খামারী মইনুল হোসেন জানায়, দুই বছর আগে শখের বসে ১০ জোড়া দেশি কবুতর কিনে আনেন। কবুতরের দাম ও খাবার খরচ মিলিয়ে ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে। পরে সেগুলো বিক্রি করে সেই টাকায় উন্নত জাতের কবুতর কিনে আস্তে আস্তে খামারে রুপান্তর করেন। এখন তার ৬৬ জোড়া উনśত জাতের কবুতর রয়েছে। বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী ওই ৬৬ জোড়া কবুতরের দাম ২ লাখ টাকার অধিক।
দুই বছরে ১৫ হাজার টাকার বিনিয়োগের বিনিময়ে মূলধন ২ লাখ টাকার অধিকে পরিনত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মইনুল হোসেন বলেন, শখেই পালন করতাম কবুতর। পরে উন্নতজাতের কবুতর পালনের মধ্য দিয়ে আমি এখন শখ থেকে সাবলম্বী। প্রত্যেক মাসে এখন ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার উন্নত জাতের কবুতর ও কবুতরের বাচ্চা বিক্রি করতে পারছি।
প্রতিমাসে কবুতরের খাবার ও ঔষুধ বাবদ ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। সে হিসাবে বর্তমানে আয় হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তবে এক থেকে দুইমাস পরে কবুতরের বাচ্চা আরও অধিক জন্মালে প্রতিমাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় হবে। দুপচাঁচিয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার নাছরীন পারভীন বলেন, মইনুল কে অনুসরণ করে সমাজের অনেক বেকার যুবকরা খামার গড়ে তুললে তারাও সহজে সাবলম্বী হতে পারবে। মইনুলের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
Leave a Reply