দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি :
গত ৬ আগস্ট শুক্রবার দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ অপহৃত স্কুল ছাত্রী রেমী খাতুন (১৫) কে ২৭ দিন পর ক্ষেতলাল উপজেলার মাহমুদপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ চেঁচুড়িয়া গ্রামের প্রবাসী জিল্লুর রহমান ওরফে বাবুর মেয়ে পাশ্ববর্তি আক্কেলপুর উপজেলার রায়কারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। রেমী খাতুন স্কুলে যাতায়াত কালে আক্কেলপুরের নারিকেলী গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে জয় (২১) বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেয়। রেমী খাতুন প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। রেমীর মা বিষয়টি জিয়ানগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানায়। চেয়ারম্যান ছেলেটির অভিভাবককে বিষয়টি অবগত করেন এবং এ ধরনের ঘটনা থেকে বিরত থাকার জন্য বলে। এর কিছুদনি পরেই ছেলের অভিভাবকরা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে মেয়েটির বাবা বিদেশে থাকায় তার মায়ের সাথে বাড়িতে গিয়ে দেখা করে এবং কথা বলেন। তার মা মেয়ের বয়স কম হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করেন। ঘটনার দিন ১০ জুলাই সকাল ৭টায় প্রতিদিনের মতো রেমী খাতুন প্রাইভেট পরার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। উপজেলার বেড়াগ্রাম তিলকপুর রাস্তার আমতলী নামক স্থানে পৌঁছিলে জয় কয়েকজন সঙ্গী সহ রেমীকে জোরপূর্বক একটি সাদা মাইক্রতে তুলে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে রেমীর মা রেহেনা বেগম (৩৫) বাদী হয়ে ১৮ জুলাই ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৪ জনকে আসামি করে দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা (যাহার নং-১২) দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বকুল হোসেন জানান, গত শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানাধীন মাহমুদপুর গ্রাম থেকে অপহৃতা স্কুল ছাত্রী রেমী খাতুনকে উদ্ধার করেছেন। গত শনিবার অপহৃতা স্কুল ছাত্রী রেমী খাতুনকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে
Leave a Reply